অমুসলিমকে সালাম দেওয়া যাবে কি?
কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে বিশ্লেষণ
সালাম: ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন
সালাম শুধু একটি শুভেচ্ছাবাক্য নয়, বরং এটি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিআর তথা নিদর্শন। একজন মুসলিম আরেকজন মুসলিমের জন্য এই দোয়া করে—
“السلام عليكم ورحمة الله وبركاته”
(তোমার উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক)
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:
“وَمَنْ يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوبِ”
“আর যে কেউ আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে সম্মান করে, তা অন্তরের তাকওয়ার নিদর্শন।”
— (সূরা হজ: ৩২)
অমুসলিমকে সালাম দেওয়া যাবে কি?
এ প্রশ্নের উত্তরে ইসলাম আমাদেরকে খুব পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন:
“لا تَبْدَؤُوا اليَهُودَ ولا النَّصَارى بالسَّلام”
“তোমরা ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের সালামে আগে করবে না।”
— (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ২১৬৭)
অর্থাৎ, অমুসলিমকে সালাম দিয়ে আগে শুরু করা ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গিতে নিষিদ্ধ। কারণ সালাম মুসলিমদের পারস্পরিক সম্পর্ক, ভালোবাসা ও দোয়ার প্রতীক।
যদি অমুসলিম প্রথমে সালাম করে?
এক্ষেত্রে ইসলামী নির্দেশনা হলো— তুমি তাদের সালামের জবাবে বলবে:
“وَعَلَيْكُمْ”
(আর তোমাদের প্রতিও)
এই বিষয়ে হাদীসে এসেছে:
“إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أَهْلُ الْكِتَابِ فَقُولُوا وَعَلَيْكُمْ”
“যখন আহলে কিতাব (ইহুদি-খ্রিষ্টান) তোমাদের সালাম করে, তখন তোমরা বলো: ‘ওয়া আলাইকুম।’”
— (সহীহ বুখারি: ৬২৬৮, সহীহ মুসলিম: ২১৬৩)
ফিকহি কিতাবসমূহে ব্যাখ্যা:
-
ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ৫/৩২৬
-
রদ্দুল মুহতার: ৬/৪১
-
তিরমিযী: ১৬৬৯
-
ইবনু মাজাহ: ৩৬৯৭
-
আবু দাউদ: ৫২০৬