নামাজের গুরুত্ব | কুরআন ও হাদীসে সালাতের ফজিলত ও তাৎপর্য
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন:
“নিশ্চয়ই সালাত অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।”
— (সূরা আনকাবুত, ২৯:৪৫)
আরেক জায়গায় আল্লাহ বলেন:
“তোমরা সালাত কায়েম করো এবং যাকাত প্রদান করো এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ করো।”
— (সূরা আল-বাকারা, ২:৪৩)
এই আয়াতসমূহ প্রমাণ করে যে, সালাত মুসলিম জীবনের একটি অপরিহার্য ইবাদত এবং এর মাধ্যমেই আত্মশুদ্ধি অর্জিত হয়।
হাদীসে নামাজের গুরুত্ব
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেন:
“আমাদের ও কাফেরদের মধ্যে পার্থক্যের চিহ্ন হলো সালাত। যে ব্যক্তি তা পরিত্যাগ করে, সে কুফরির পথে চলে যায়।”
— (সুনান তিরমিযি, হাদীস: ২৬২১)
আরো বলেছেন:
“কিয়ামতের দিন বান্দার প্রথম হিসাব নেওয়া হবে সালাত সম্পর্কে। সালাত ঠিক থাকলে তার সমস্ত কাজ ঠিক হবে, আর যদি তা নষ্ট হয়, তবে তার সব কাজ নষ্ট হয়ে যাবে।”
— (সুনান আন-নাসায়ি, হাদীস: ৪৬৪)
এ দুটি হাদীস থেকে বোঝা যায়, নামাজ ইসলামের মূল ভিত্তি এবং আখিরাতে সফলতার প্রথম শর্ত।
নামাজের ব্যক্তিগত ও সামাজিক প্রভাব
নামাজের মাধ্যমে:
একজন মুসলিমের আত্মশুদ্ধি ঘটে।
আল্লাহর সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সমাজে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
মন্দ ও অশ্লীল কাজ থেকে মানুষ দূরে থাকে।
উপসংহার
নামাজ ইসলামী জীবনব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু। এটি মানুষের আত্মিক উন্নতি এবং সামাজিক শান্তির প্রধান মাধ্যম। কুরআন ও হাদীসের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের উচিত নামাজকে জীবনের অঙ্গীভূত করা এবং যথাসময়ে তা আদায় করা। নামাজ ছাড়া কোনো মুসলিমের জীবন পূর্ণতা পেতে পারে না।
নামাজ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য ক্লিক করুন
আমাদের সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য ক্লিক করুন
ইসলামিক যে কোন প্রশ্ন করতে ক্লিক করুন